সুন্দর চিন্তা

সুন্দর চিন্তা

সুন্দর চিন্তা

Think Positive
জীবন বদলানো সুন্দর চিন্তা
         সেদিন রাস্তায় একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।বাহিরে ঝুম বৃষ্টি, ততোহ্মনে স্কুল ছুটি হয়ে গেছে।বাচ্চদের নিয়ে যেতে তাদের পিতামাতারা বাহিরে অপেক্ষা করছে। কিছুহ্মনের মধ্যে বৃষ্টি থেমে গেল, বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট সব ভরে গেছে পাশের ড্রেনগুলোও আবর্জনাতে পুরে গিয়েছে আর সেই পচাঁ পানি রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ কোথেকে যেন সিটি কর্পোরেশন এর লোক এসে হাজির, তাদের মাঝে বৃদ্ধ একজন ড্রেন পরিষ্কার করছিল। এমন সময় স্কুলের এক বাচ্চার মা তার বাচ্চাটিকে খুব বকছে…এই যে তুমি পড়ালেখা করনা, তোমাকেতো ঐ লোকটির মতো ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে অন্যদিকে আরেকজন বাচ্চার মা তার বাচ্চাটিকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল তিনি তার বাচ্চাটিকে বলছিল শোন বাবু তুমি যদি ভাল করে পড়ালেখা না কর তাহলে কিন্তু তুমি এই সমাজের মানুষের উন্নতি করতে পারবে না, ঐ যে দেখ লোকটি কত কষ্ট করে ড্রেন পরিষ্কার করছে তাদের এই কষ্টও দূর করতে পারবে না, তাই তোমার ভালো করে পড়ালেখা করা উচিত।
অবাক হয়েছিলাম সেদিন অনেক , কত সুন্দর করে একজন ব্যাক্তি চিন্তা করতে পারে। দুইজন শিশুর মা বাচ্চাগুলোকে দুই রকম ভাবেই বুঝিয়েছিল, তবুও তাদের বুঝানোতে ছিল অনেক পার্থক্য।আমি ধন্যবাদ জানাই সমাজের সেই সকল মানুষগুলোকে যারা তাদের এই সুন্দর চিন্তা -ভাবনা গুলো দিয়ে ভবিষ্যৎকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।শুভকামনা থাকবে তাদের জন্য….
          উপরের ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে কোন অবস্থাতেই মানুষের উচিত খারাপভাবে চিন্তা না করে ভালোভাবে চিন্তা করা, বলাতো যায়না হয়তো
এই ছোট চিন্তা গুলোই একদিন সমাজের নতুন রূপ বদলাতে সাহায্য করবে।
আকাশগঙ্গায় একদিন

আকাশগঙ্গায় একদিন

আকাশগঙ্গায় একদিন

        অনিরুদ্ধ, উষা, চিত্রলেখ এদের সবাই আমার থেকে অনেক অনেক দূরে থাকে। এতটাই দূরে যে তাদের কাছে যেতে আমাকে পারি দিতে হবে কয়েক আলোকবর্ষ, কিন্তু মজার ব্যাপার হল আমি তাদের দেখতে পাই এত দূরে থেকেও । তবে আলোতে তাদের দেখা যায় না। তাদের দেখতে হলে আমাকে যেতে হবে অালো থেকে একটু দূরে, কারণ অন্ধকারেই আলোর খোঁজ মিলে, আর ঐ যে ফোটন কণা সেইতো তাদের দেখাতে সাহায্য করে। বলছিলাম আকাশগঙ্গায় থাকা সেই Orion ( কালপুরুষ) এর কথা।
Alnitak , Alnilam & Mintaka একই সরলরেখায় থাকা তিনটি তারা,পরপর সজ্জিত। এদের একত্রে অরিয়ন বেল্ট বলে। তাছাড়াও এই তারা গুলোর চারপাশে আরো চারটি তারা আাছে সব মিলিয়ে মোট সাতটি তারা, যদি এই সাতটি তারা মিলানো যায় তবে একটি মানুষের আকৃতি কল্পনা করা যায়, তবে তাতে আরো কিছু তারাও যুক্ত থাকে।এখান থেকেই পরে Brightest star মানে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারার খোঁজ মিলে।
শীতের রাতে আকাশের দহ্মিন দিকে তাকালেই তাদের দেখা যেতে পারে তবে মেঘলা আকাশে তাদের দেখা মেলা ভার।
এতকিছু বলার পর মনে হতেই পারে কি হবে তাদের চিনে?…
যদি কখনো অচেনা পথের দেখা মিলে আর সেখানে যদি কম্পাস ও কাজ না করে তবে এরাই তখন Navigational star হয়ে তোমাকে হারিয়া যাওয়া পথের সন্ধান খু্ঁজে দিবে 🙂
সময়

সময়

সময়

Time
Time

      আর কিছুহ্মন পরই ঘড়ির কাটা বারোটায় পৌছবে। চারিদিকে হৈ চৈ পরে গেছে, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় সবাই। এদিকে আজও তার কান্না পাচ্ছে, কারন এই বছরটা ভাল যায়নি তার, কিছু মানুষের ব্যবহার আর নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় যা হওয়ার ছিলনা সব মিলিয়ে খুব রাগ হচ্ছে তার, অন্যের নয় নিজের উপর। বারবার তার মনে হচ্ছে আমি পারলামনা, গভীর হতাশা তার মাঝে। এবারতো সে রীতিমত দোষ দিয়ে বসেছে স্রষ্টাকে। তিনি কেন এমন করল আমার সাথে, একটু ও ভালবাসেনা আমাকে, আামাকেই শুধু কষ্ট দেয়। কাল থেকে আর সে স্রষ্টাকে ডাকবে না । ঘরের জানালার পাশেই মন খারাপ করে বসে আছে সে। এমন সময় দূর থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। পাশের বাড়ির কেউ হবে, শব্দ শুনতে পেয়ে সে বাহিরে বেড়িয়ে গেল, একি অবাক কান্ড সেই আর্তনাদতো তার পরিচিত এক বৃদ্ধ লোকের, যাকে সে চিনে, এইতো আজ সকালেই সে কথা বলেছিল উনার সাথে। জানতে চাইলো কি হয়েছে, এমন আর্তনাদ, পাশ থেকে একজন বললো, আগুন লেগে তার শরীরের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গেছে, সেরে উঠতে মাস খানিক লেগে যাবে। কালকে উনার ছেলেরা আসবে অথচ আজকেই এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল। মনে হচ্ছে লোকটি তাকে চিনতে পেরেছে,কিছু হয়তো বলতে চায়। সে ধীরে লোকটির কাছে এগিয়ে গেল আর জানতে চাইলো আপনার কিছু লাগবে ? লোকটি বললো আামাকে একটু অযু করতে সাহায্য করবে, সে বলল এই অবস্থায় আপনার পানি লাগানো উচিত হবেনা। লোকটি বললো আমি তায়াম্মুম করে নিব। কিছুহ্মনের জন্য সে চুপ হয়ে গেল, এত কষ্ট পেয়েও আপনার স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে না – সে বললো, এমন একটা সময় স্রষ্টা আপনাকে এত কষ্ট দিচ্ছে, আপনি তারপর ও তাকে ভুলে যাচ্ছেননা কেন?  লোকটি বললো তিনি যা করেন, ভালোর জন্যই করেন।বিপদে ধৈর্য্য ধারন করা উচিত। তুমি কি তোমার ভাল সময়ের জন্য স্রষ্টার প্রশংসা করেছ তবে বিপদে পরলে কেন তাঁকে দোষারোপ করবে। সময়ের কাটা এখন বারোটাতে , এখন তার আর খারাপ লাগছেনা। যা আগে ভেবে কষ্ট পেয়েছিল তার কিছুই মনে নেই তার। স্রষ্টার প্রতি যে রাগ ছিল তাও সে ভুলে গেছে। ভাবছে , হয়তো সে নতুন একটি দিন পাবে কিছু করার, যা আজও কেউ পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছে।

একটা বিজয়ের গল্প

একটা বিজয়ের গল্প

একটা বিজয়ের গল্প

A winner story
A winner story

       সময়টা তখন ১৯৭১ সাল। সেদিন ও পূর্বের আকাশে রক্তিম সূর্য উঠেছিল। পাশেই ছিল গ্রামের পুকুরটা,গিয়েছিলাম পানি আনতে হঠাৎ গোলাগোলির বিকট শব্দ। পানি না নিয়েই চলে এসেছিলাম সেদিন, ভয়ে আমি তখনও কাঁপছি।এসেই সব দরজা জানালা বন্ধ করে দেই। যদি জানোয়ার গুলো চলে আশে। রাস্তার পাশেই ছিল আমাদের বাড়িটা। কিছুহ্মন পর একটা জিপ গাড়ির শব্দ সাথে ভয়ংকর সেই পায়ের বুট জুতার শব্দ। যেন এদিকেই কেউ আসছে,আমার বুঝতে আর বাকি নেই তারাই সেই হায়েনার দল। আরতো বাঁচার কোন উপায় নেই।পরপর দরজায় দুইবার লাথি। আমি কোন উপায় না পেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতে শুরু করলাম। এমন সময় কোথায় থেকে যেন মিন্টু ছুঁটে আসল।একটা বীর যোদ্ধা ছিল বটে, হাত না থাকলে কি হবে চারটা পা ছিল তার। একজন শত্রুকেও ছাড় দেয়নি সে,তারা যতই বলছিল থ্যারো থ্যারো নেহি তো মার দেয়ুংগি। তাদের বন্দুকের গুলির ভয় ছিল না তার। যার জিতার নেশা থাকে তার আবার মরার ভয় থাকেনা। সবকয়টাকে হারিয়ে সেদিন তারিয়েছিল যেন সে জানতো তারা আমাদের শত্রু। সেইদিন সবাই মিন্টুর জন্যই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম…সেদিন বেঁচে গেলেও দেশ স্বাধীনের পর নিষ্ঠুর রাজাকাররা তাকে বাঁচতে দেয় নি,খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে মেরে ফেলেছিল। জানো দাদুভাই কে ছিল সে মিন্টু! মিন্টু ছিল আমাদের পোষা প্রিয় কুকুর। এই সমাজ মিন্টুকে জানোয়ার বলে কিন্তু আমি জানি সে কত বড় বীর। জানোয়ারতো তারা যারা সেদিন নির্মমভাবে প্রাণগুলো কেড়ে নিয়েছিল। দাদুভাই এই দেশটা যে দাম দিয়ে কিনা কারো দানে পাওয়া নয়। কতো কতো প্রাণ যে দিতে হয়েছে এই লাল সবুজ পতাকার জন্য,আরে তাদের অর্জনইতো আজ তোদের অহংকার। দেশকে সবসময় ভালবাসবি, মনে রাখবি এটা তোদের গর্ব।এ্যামি কানাডা থাকে,ছুটিতে দেশে বেড়াতে এসেছিল। আজ সে আবার কানাডা ফিরে যাবে,সাথে দাদুর দেয়া ভালবাসার স্মৃতি অার পতাকাটা সে নিয়ে যাবে। টেবিলের উপর পরে থাকা পতাকাটা সে তুলে নিল, পরম যত্নে সে আঁকড়ে ধরে আছে পতাকাটা,এটা যেন শুধুই তার।

একতা

একতা

একতা

Secrect to win together
Secrect to win together

       অনেকদিন পর খরগোশ আর কচ্ছপের আবার দেখা। খরগোশ বললো, কিরে কচ্ছপ মনে আছে সেই দৌড় প্রতিযোগিতার কথা, আমি একটু ঘুমিয়েছিলাম বলে তুই কেমন চালাকি করে জিতে গেলি, নইলে কিন্তু বল আমিই জিততাম সেদিন। আর তুই যেই ধীরে দৌড় দিস, অমন দৌড় দিয়ে কি আর সবসময় জিতা যায়। এই যেমন আমাকেই দেখ না কত দ্রুত দৌড়াতে পারি। আরেকবার প্রতিযোগিতা হলে দেখিস আমিই জিতে যাব। কচ্ছপ বললো, চল তাহলে আবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করি দেখি কে জিতে। যেই ভাবা সেই কাজ, দিনক্ষন ঠিক করা হল। দু’জনেই প্রস্তুত। বনের অদূরে দাগ কেটে সীমানা টানা হল। সেখানে যে আগে পৌছবে সেই হবে আজকের জয়ী। সময় শুরু হল – খরগোশতো দ্রুত দৌড়াতে শুরু করলো, এবার যে তাকে জিততেই হবে। কোন বিশ্রামের দরকার হবেনা এইবার তার। গতবার এই ভুল করেই সে হেরে গিয়েছিল। যদিও নিজের দোষ সে কচ্ছপ মশাইকে বলতে নারাজ। তবে যাই হোক এবার অবশ্য কচ্ছপের থেকে অনেক এগিয়ে সে। আর যাই হোক কচ্ছপের আর তাকে হারানো সম্ভব হবে না। খরগোশের সাথে লড়তে আসার ফল আজই বুজবে সেই ধীরে চলা কচ্ছপ। মনে মনে ভাবতেই হঠাৎ সামনে তাকিয়ে খরগোশ মশাইতো রিতিমত অবাক, একি অবস্থা! গতরাতের বৃষ্টির জলে যে মাঠ ভরে গেছে। এখন কি করে সে জল ভর্তি মাঠ পার হবে। জলে চলা যে আর তার পক্ষে সম্ভব নয়। এদিকে কচ্ছপের জীবন যায় যায় দশা। অর্ধেক পৌছতেই সে হাপিয়ে উঠেছে। তবে মনের জোর একটুও কমেনি তার, যতই সে ধীরে চলুকনা কেন জিতার হাল তো সে আর এমনি ছেড়ে দিবে না। দীর্ঘ সময়ের পথ পারি দিয়ে কচ্ছপ এইবার সেই জলে ভরা মাঠের সামনে। খরগোশের জলে চলা সম্ভব না হলেও কচ্ছপ এর কিন্তু জলে চলতে মোটেও সমস্যা হয় না। কচ্ছপ মশাই একটু ও অপেক্ষা না করে জল ভর্তি মাঠে নেমে পড়লো আর কিছুক্ষনের মাঝে সহজেই পারও হয়ে গেল। অবশেষে কঠিন এই দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে আবারো কচ্ছপই জিতে গেল। প্রতিযোগিতার শেষে তারা দুজনেই তাদের দুজনের দুর্বলতা গুলো বুজতে পেরেছিল।কচ্ছপ যেমন বুজতে পেরেছিল জলে চলা তার জন্য সহজ হলেও খরগোশের মত দ্রুত চলা তার পক্ষে সম্ভব নয় অন্যদিকে খরগোশ বুজতে পেরেছিল যে সে দ্রুত চলতে জানলেও পানিতে চলা তার সাধ্যি নয়। সবশেষে তারা পুনরায় আবার একত্র হয়েছিল। তখন কিন্তু খরগোশ অর্ধ পথ কচ্ছপ কে তার পিঠে চড়িয়ে পার করে দিয়েছিল আর বাকি জলে ভর্তি অর্ধেক পথ কচ্ছপ তার পিঠে খরগোশ কে বসিয়ে পার করে দিয়েছিল।